মেয়েরা সাবধান:যেকারো কাছে আপনার কমপিউটার সারাতে দেবেন না
সাংঘাতিক রকমের কান্ড হয়েছে এর ভেতর। একজন টেকনিশিয়ান মেয়েদের ল্যাপটপে
এমন কিছু গোপন সফটওয়্যার ইনষ্টল করে দিতো,যা দিয়ে সে মেয়েদের নগ্ন ছবি
সংগ্রহ চেষ্টা করতো।
ঘটনাটি বাংলাদেশে নয়,ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস শহরে। হারওয়েল নামের ২০ বছরের একজন টেকনিশিয়ান যে কিনা ল্যাপটপ ঠিক করতে পারে। মেয়েরা যখন তার কাছে ল্যাপটপ সারাতে রেখে আসতো,সে ওই ল্যাপটপের ভেতর গোপন কিছু সফটওয়্যার ঢুকিয়ে রাখতো। এবং ওই ল্যাপটপে যদি ওয়েবক্যাম থাকে,কিংবা লাগানো হয়,তাহলে সে ওই ছবি দূরে বসেই ক্যাপচার করতে পারতো।
যেহেতু তার ইচ্ছা হলো মেয়েদের নগ্ন ছবি দেখা,তাই সে একটি চালাকি করেছিল। সে ল্যাপটপের ভেতর এমন একটি সফটওয়্যার ইনষ্টল করে রাখতো যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের এরর ম্যাজেস স্ক্রীনে দিতে থাকে। এবং এগুলো সবই তার সাজানো ম্যাসেজ, আসল ল্যাপটপের কিছুই হয়নি। নীচে এমন একটি এরর ম্যাসেজ দেয়া হলো-
“You should fix your internal sensor soon. If unsure what to do, try putting your laptop near hot steam for several minutes to clean the sensor.”
যার অর্থ হলো – এটার ইন্টারনাল সেন্সর ঠিক করতে হবে। তুমি যদি বুঝতে না পারো ঠিক কী করতে হবে, তাহলে সেন্সরটি পরিষ্কার করার জন্য ল্যাপটপটিকে হট স্টীমের (গোসলের)পাশে কিছুক্ষন রেখে দাও।
এই ম্যাসেজটি দেয়ার ফলে সহজ সরল অনেকেই গোসল করার সময় শাওয়ারে গরম পানি ছেড়ে দিয়ে ল্যাপটপটিকে কাছেই রেখে দিত। সবাই যে এই কাজ করতো তা নয়। ছেলেটি জানতো,কিছু মানুষ এমন বোকামি করবেই। এবং এভাবেই সে অনেক মেয়েদের গোসল করার ছবি সংগ্রহ করতে পারবে।
এবং হয়েছিলও তাই। হারওয়েলকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। কিন্তু ততক্ষণে তার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। যদিও বেশির ভাগ মানুষেরই এমন উদ্ভট এরর ম্যাসজটি দেখলে সন্দেহ করার কথা,কিন্তু অসংখ্য মেয়ে তা করেনি। তারা ঠিকই হারওয়েলের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিল।
কিন্তু বিষয়টি একদিন একটি মেয়ের মা’র নজরে আসে। তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান,এবং তদন্ত দাবী করেন। সেই তদন্ত করতে গিয়েই হারওয়েলের সমস্ত কাহিনী বের হয়ে আসে। এবং তার কমিপউটার থেকে হাজার হাজার নগ্ন ছবি পুলিশ উদ্ধার করে।
কোথাও কমপিউটার ঠিক করতে গিয়েছেন,এবং ওখানকার কেউ আপনার কমিপউটারে গোপন কিছু বসিয়ে রেখেছে – এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এমন ঘটনা প্রচুর আছে,এবং বিভিন্ন মাত্রায়। আমরা হয়তো বিশ্বাস করেই আমাদের কমপিউটারটি ওই সব দোকানে রেখে আসি,আবার নিয়ে এসে বুঝারও উপায় নেই যে,ওটার ভেতর গোপন কোনও সফটওয়্যার ভরে দিয়েছে কি না!
আমেরিকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে হয়তো পুলিশ ঠিকমতো ওই হারওয়েলকে খুজে ধরতে পেরেছে। তবে হারওয়েলের চেয়েও আরো বেশি বুদ্ধিমান মানুষ আছে,যারা হয়তো এমন অদ্ভুৎ ম্যাসেজ দিয়ে কাউকে বোকা বানাতে চাইবে না। তারা আপনাকে না জানিয়ে এমন সব সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেবে যাতে করে আপনার কমপিউটারের সাথে লাগানো ওয়েবক্যাম কিংবা মোবাইলে তোলা ছবি কিংবা ভিডিও-কে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের কাছে নিয়ে যেতে পারবে। আর যাদের ইন্টারনেট নেই,তারা যদি আবারো সেই দোকানে কমিপউটার সাড়াতে যান,তখন কপি করে সেগুলো রেখে দেবে।
তাই,শেষ কথা হলো -যে কারো কাছে আপনার কমপিউটার (বিশেষ করে ল্যাপটপ)সারাতে দেবেন না। আর যদি সেটা করতেই হয়,তাহলে কখনই সেই কমপিউটারে ব্যক্তিগত কোন ছবি বা ভিডিও রাখবেন না। এমনকি ওয়েবক্যামেও বুঝে শুনে ব্যবহার করবেন। ওরা আপনার ছবি,ভিডিও এমনকি ওয়েবক্যামের সবকিছুই পেয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। তার নিয়ন্ত্রণ খুব একটা নেই। এই ধরনের ক্রাইম যে আমাদের দেশে ঘটছে না,তা দিব্যি দিয়ে বলা যাবে না। তাই মেয়েরা একটু বেশি সতর্ক থাকুন।
ঘটনাটি বাংলাদেশে নয়,ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস শহরে। হারওয়েল নামের ২০ বছরের একজন টেকনিশিয়ান যে কিনা ল্যাপটপ ঠিক করতে পারে। মেয়েরা যখন তার কাছে ল্যাপটপ সারাতে রেখে আসতো,সে ওই ল্যাপটপের ভেতর গোপন কিছু সফটওয়্যার ঢুকিয়ে রাখতো। এবং ওই ল্যাপটপে যদি ওয়েবক্যাম থাকে,কিংবা লাগানো হয়,তাহলে সে ওই ছবি দূরে বসেই ক্যাপচার করতে পারতো।
যেহেতু তার ইচ্ছা হলো মেয়েদের নগ্ন ছবি দেখা,তাই সে একটি চালাকি করেছিল। সে ল্যাপটপের ভেতর এমন একটি সফটওয়্যার ইনষ্টল করে রাখতো যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের এরর ম্যাজেস স্ক্রীনে দিতে থাকে। এবং এগুলো সবই তার সাজানো ম্যাসেজ, আসল ল্যাপটপের কিছুই হয়নি। নীচে এমন একটি এরর ম্যাসেজ দেয়া হলো-
“You should fix your internal sensor soon. If unsure what to do, try putting your laptop near hot steam for several minutes to clean the sensor.”
যার অর্থ হলো – এটার ইন্টারনাল সেন্সর ঠিক করতে হবে। তুমি যদি বুঝতে না পারো ঠিক কী করতে হবে, তাহলে সেন্সরটি পরিষ্কার করার জন্য ল্যাপটপটিকে হট স্টীমের (গোসলের)পাশে কিছুক্ষন রেখে দাও।
এই ম্যাসেজটি দেয়ার ফলে সহজ সরল অনেকেই গোসল করার সময় শাওয়ারে গরম পানি ছেড়ে দিয়ে ল্যাপটপটিকে কাছেই রেখে দিত। সবাই যে এই কাজ করতো তা নয়। ছেলেটি জানতো,কিছু মানুষ এমন বোকামি করবেই। এবং এভাবেই সে অনেক মেয়েদের গোসল করার ছবি সংগ্রহ করতে পারবে।
এবং হয়েছিলও তাই। হারওয়েলকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। কিন্তু ততক্ষণে তার পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। যদিও বেশির ভাগ মানুষেরই এমন উদ্ভট এরর ম্যাসজটি দেখলে সন্দেহ করার কথা,কিন্তু অসংখ্য মেয়ে তা করেনি। তারা ঠিকই হারওয়েলের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছিল।
কিন্তু বিষয়টি একদিন একটি মেয়ের মা’র নজরে আসে। তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান,এবং তদন্ত দাবী করেন। সেই তদন্ত করতে গিয়েই হারওয়েলের সমস্ত কাহিনী বের হয়ে আসে। এবং তার কমিপউটার থেকে হাজার হাজার নগ্ন ছবি পুলিশ উদ্ধার করে।
কোথাও কমপিউটার ঠিক করতে গিয়েছেন,এবং ওখানকার কেউ আপনার কমিপউটারে গোপন কিছু বসিয়ে রেখেছে – এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এমন ঘটনা প্রচুর আছে,এবং বিভিন্ন মাত্রায়। আমরা হয়তো বিশ্বাস করেই আমাদের কমপিউটারটি ওই সব দোকানে রেখে আসি,আবার নিয়ে এসে বুঝারও উপায় নেই যে,ওটার ভেতর গোপন কোনও সফটওয়্যার ভরে দিয়েছে কি না!
আমেরিকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে হয়তো পুলিশ ঠিকমতো ওই হারওয়েলকে খুজে ধরতে পেরেছে। তবে হারওয়েলের চেয়েও আরো বেশি বুদ্ধিমান মানুষ আছে,যারা হয়তো এমন অদ্ভুৎ ম্যাসেজ দিয়ে কাউকে বোকা বানাতে চাইবে না। তারা আপনাকে না জানিয়ে এমন সব সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেবে যাতে করে আপনার কমপিউটারের সাথে লাগানো ওয়েবক্যাম কিংবা মোবাইলে তোলা ছবি কিংবা ভিডিও-কে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের কাছে নিয়ে যেতে পারবে। আর যাদের ইন্টারনেট নেই,তারা যদি আবারো সেই দোকানে কমিপউটার সাড়াতে যান,তখন কপি করে সেগুলো রেখে দেবে।
তাই,শেষ কথা হলো -যে কারো কাছে আপনার কমপিউটার (বিশেষ করে ল্যাপটপ)সারাতে দেবেন না। আর যদি সেটা করতেই হয়,তাহলে কখনই সেই কমপিউটারে ব্যক্তিগত কোন ছবি বা ভিডিও রাখবেন না। এমনকি ওয়েবক্যামেও বুঝে শুনে ব্যবহার করবেন। ওরা আপনার ছবি,ভিডিও এমনকি ওয়েবক্যামের সবকিছুই পেয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। তার নিয়ন্ত্রণ খুব একটা নেই। এই ধরনের ক্রাইম যে আমাদের দেশে ঘটছে না,তা দিব্যি দিয়ে বলা যাবে না। তাই মেয়েরা একটু বেশি সতর্ক থাকুন।